Skip to main content
 

আমাদের কথা

কুষ্টিয়া জেলার ইতিহাসঃ

            দেশের সাংস্কৃতিক রাজধানী হিসেবে পরিচিত ঐতিহ্যবাহী জেলা কুষ্টিয়া (মুজিবনগর) বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাজধানী। ১৮৬০ সালে নীল বিদ্রোহের কারণে ১৮৬৩ সালে কুষ্টিয়ায় মহকুমা প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৮৬৯ সালে কুষ্টিয়ায় একটি পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হয়। হ্যামিলটন'স গেজেট প্রথম কুষ্টিয়া শহরের উল্লেখ পাওয়া যায়। বর্তমান কুষ্টিয়া জেলা ছিল নদীয়া জেলার একটি অংশ যা ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের আগে প্রায় ১০০ বছর অবিভক্ত ছিল। নদীয়া জেলার অন্তর্ভুক্ত হওয়ার আগে এই জেলাটি পার্শ্ববর্তী ফরিদপুর, যশোর, রাজশাহী, পাবনা ইত্যাদি জেলার সাথে বিভিন্ন সময়ে সংযুক্ত ছিল।  ১৯৪৭ সালে ভারত ভাগের মধ্য দিয়ে কুষ্টিয়া একটি জেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৪৮ সালের ২৩ ফেব্রয়ারি  নদীয়া জেলা তার বর্তমান রূপটি লাভ করে।  প্রাথমিকভাবে কুষ্টিয়া- কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর মহকুমা নিয়ে গঠিত হয়। ১৯৮৪ সালে এই মহকুমাগুলির প্রতিটিকে পরে ব্যবস্থাপনার স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য একটি পৃথক জেলায় রূপান্তরিত করা হয়। মরমী সাধক লালনের মাজার ছাড়াও এ জেলার শিলাইদহে রয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়ি ও মীর মোশাররফ হোসেনের বাস্তুভিটা। টোকিও ট্রাইবুন্যাল এর বিচারক রাধাবিনোদ পাল এর জন্ম কুষ্টিয়া জেলায়। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের বর্তমান প্রধান বিচারপতি জনাব হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী এই জেলায় জন্মগ্রহণ করেন।

কুষ্টিয়া আদালতের ইতিহাসঃ

            ১৮৬০  নীল বিদ্রোহের কারনে বিচারের জন্য কুমারখালীর ভালুকায় একটি মুনসেফী আদালত প্রতিষ্ঠা হয় এবং ঈষান চন্দ্র দত্ত প্রথম মুনসেফ হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্ত হন। । ১৮৬৩ সালে কুষ্টিয়া থানা ও কুমারখালী থানা পাবনা জেলার অর্ন্তভূক্ত হলে ভালুকা থেকে মুনসেফ আদালত উঠে যায় এবং ১৮৬৩ সালে কুষ্টিয়া মহকুমার মর্যাদা পেলে কুষ্টিয়ায় মুনসেফী আদালত প্রতিষ্ঠিত হয়। কুষ্টিয়া প্রথমে রাজশাহী জেলা জাজশীপের অধীনে ও পরে পাবনা জেলা জজশীপের অধীনে থাকে।

জেলা ও দায়রা জজ আদালতঃ

           ১৯৭০ সালের ১৭  সেপ্টেম্বর থেকে কুষ্টিয়ার প্রথম জেলা জজ হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন জনাব জালাল উদ্দিন চৌধুরী। কুষ্টিয়ার বর্তমান জেলা  ও দায়রা জজ  জনাব শেখ আবু তাহের । জেলা সদর হতে ৪০ কিলোমিটার দূরত্বের কারণে  ইং ২৯/১১/২০১২ তারিখ হতে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানাতে , দৌলতপুর  চৌকি আদালত  হিসেবে একটি চৌকি আদালতের কার্যক্রম  শুরু হয় এবং চলমান আছে।

চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতঃ  

            পহেলা নভেম্বর ২০০৭ সালে কুষ্টিয়া চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রতিষ্ঠিত হয়। ০১-১১-২০০৭ ইং তারিখে ৪০৪৩ টি মামলা নিয়ে অত্র ম্যাজিস্ট্রেসির কার্যক্রম শুরু হয়।  প্রথম চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে কর্মরত ছিলেন জনাব মোঃ আব্দুল আজিজ মন্ডল। বর্তমানে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে কর্মরত আছেন জনাব শেখ তারিক এজাজ।

আদালতের অবকাঠামোঃ

          ১৯৬৮ সালের ১৭ নভেম্বর কুষ্টিয়া জেলার বর্তমান  জেলা জজ আদালত প্রতিষ্ঠিত হয়।  কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতে সুউচ্চ ম্যাজস্ট্রেট বিল্ডিং সহ ২ টি বিল্ডিং রয়েছেে। স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল রয়েছে। এছাড়া দৌলতপুর চৌকি আদালতে ১ টি আলাদা ভবন রয়েছে।

কুষ্টিয়া আইনজীবী সমিতিঃ 

            ভারত-পাকিস্তান বিভক্তির পর ১৯৪৭ সালে আইনজীবী সমিতি প্রতিষ্ঠিত হয় কুষ্টিয়া মহকুমায়। কুষ্টিয়া বার সভায় উপস্থিত সভ্যগণের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন শ্রী যুক্ত বাবু বিনয়কৃষ্ণ চট্টোপাধ্যায়, শ্রী যুক্ত বাবু বিনয় নাথ বাগচী এরা দুজনই আইনজীবী সমিতি প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি ও সেক্রেটারীর দায়িত্ব পালন করেন। কুষ্টিয়া আইনজীবী সমিতির বর্তমান সভাপতি জনাব নুরুল ইসলাম দুলাল এবং সাধারণ সম্পাদক জনাব  দেওয়ান মাসুদ করিম মিঠু।